ভাইরাস সম&#x

ভাইরাস সম্বন্ধে পবিত্র কুরআনে যা বর্ণিত রয়েছে!


সোহেল সানি
সোহেল সানি
“আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইয়তোআনির রাজীম”(বিতাড়িত শয়তান হতে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করছি)  
উল্লেখ্য, যার উদ্দেশ্যে আরশের তখতনামায় ওই আয়াতটি লেখা, সেই শয়তানই আল্লাহর কাছে জানতে চাইলো- হে মাবুদ!  কে সেই পাপিষ্ঠ শয়তান, যার থেকে রক্ষা পাবার জন্য আপনার প্রার্থনা লাভের কথা লেখা আছে?  আল্লাহ বললেন, নিশ্চয়ই তাকে চিনতে পারবে, অপেক্ষা করো।
মরণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দুই বছর পেরিয়ে। ইতিমধ্যেই অর্ধকোটি প্রাণ ঝরে পড়েছে। নিত্য মৃত্যুর মিছিল দিকে দিকে। পৃথিবীজুড়ে মানুষের মাঝে গভীর উদ্বেগ উৎকন্ঠা। বাংলাদেশেও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। 
জ্ঞান-বিজ্ঞান প্রাণঘাতী করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কারে এখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সীমাবদ্ধ।
অথচ মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআনে রয়েছে নানা ভাইরাসের কথা। সঙ্গে সুস্পষ্ট সতর্কবাণী। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেছেন, “তারপর আমি তোমাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে পাঠিয়েছি এক ঝঞ্ঝা-বায়ু এবং এক বাহিনী। এমন এক বাহিনী যা তোমরা চোখে দেখতে পাওনি (সূরা আহযাব ৯-৯)। 
তারপর আমি তাদের ওপর রোগব্যাধি, অভাব, দারিদ্র্য, ক্ষুধা চাপিয়ে দেই, যেন তারা আমার কাছে নম্রতাসহ নতিস্বীকার করে (সূরা আনহাম ৪২-৪২)। 
তারপরও এই অবিচারমূলক জুলুমকার্য করার পর তাদের বিরুদ্ধে আমি আকাশ থেকে কোনও সেনাদল পাঠাইনি। পাঠানোর কোনও প্রয়োজনও আমার ছিল না। শুধু একটা বিস্ফোরণের শব্দ হলো, আর সহসা তারা সব নিস্তব্ধ হয়ে গেল (মৃত লাশ হয়ে গেল) সূরা ইয়াসিন ২৮-২৯)।
শেষ পর্যন্ত আমি এই জাতিকে পোকামাকড় বা পঙ্গপাল, উকুন, ব্যাঙ, রক্ত, প্লাবন ইত্যাদি দ্বারা শাস্তি দিয়ে ক্লিষ্ট করি (সূরা আরাফ ১৩৩-১৩৩)। 
নিশ্চয়ই আল্লাহ মশা কিংবা এর চাইতেও তুচ্ছ বিষয় (ভাইরাস বা জীবাণু) দিয়ে উদাহরণ বা তাঁর নিদর্শন প্রকাশ করতে লজ্জাবোধ করেন না (সূরা বাকারা ২৬-২৬/)। 
অধিবাসীদেরকে আমি দুঃখ, দারিদ্র্য, রোগব্যাধি ও অভাব-অনটন দ্বারা আক্রান্ত করে থাকি। উদ্দেশ্য হল, তারা যেন, নম্র এবং বিনয়ী হয় (সূরা আরাফ ৯৪-৯৪)।
তোমার রবের সেনাদল বা সেনাবাহিনী (কত প্রকৃতির বা কত রূপের কিংবা কত ধরনের) তা শুধু তিনিই জানেন (সূরা মুদ্দাসিসর ৩১-৩১)। 
তুমি তাদের বলো যে, আল্লাহ তোমাদের ঊর্ধ্বলোক হতে বা উপর থেকে এবং তোমাদের পায়ের নীচ হতে শাস্তি বা বিপদ পাঠাতে পূর্ণ সক্ষম (সূরা আনআম ৬৫-৬৫)। তারপর আমার ভূমিকম্প তাদের গ্রাস করে ফেলল। ফলে তারা তাদের নিজেদের গৃহেই মৃত অবস্থায় উল্টো হয়ে পড়ে রইল (সূরা আ'রাফ ৯১-৯১)।
তারপর আমি এই লূত সম্প্রদায়ের ওপর প্রেরণ করেছিলাম প্রস্তর বর্ষণকারী এক প্রচণ্ড ঘূর্ণিবায়ু সূরা (কামার -৩৪)।
অবশ্যই আমি তোমাদের পূর্বে বহুজাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছি, যখন তারা সীমা অতিক্রম করেছিল (সূরা ইউনুস ১৩-১৩)। 
তারপর প্রবল বন্যার পানি তৈরি করলাম এবং ফসলি জমিগুলো পরিবর্তন করে দিলাম। অকৃতজ্ঞ ও অহংকারী ছাড়া এমন শাস্তি আমি কাউকে দেই না (সূরা সাবা ১৬-১৫)।
নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রতিটি বস্তুর ওপর (অর্থাৎ আরশ,পঙ্গপাল কিংবা ভাইরাস) সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান, সবই তার নিয়ন্ত্রণাধীন (সূরা বাকারা ১৪৮-১৪৮)।
আর আমি অবশ্যই তোমাদেরকে কিছু ভয়, ক্ষুধা, জান-মালের ক্ষতি ও ফল-ফলাদির স্বল্পতার মাধ্যমে পরীক্ষা করব। তবে তুমি ধৈর্যশীলদেরকে জান্নাতের সুসংবাদ দাও (সূরা বাকারা ১৫৫-১৫৫)।
আর আমার বাহিনীই হয় বিজয়ী (আমার পরিকল্পনা পূর্ণ করে) (সূরা সাফফাত ১৭৩-১৭৩)।
অতঃপর যখন আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের উপদেশ এবং দিক-নির্দেশনা দেওয়া হলো, তারা তা ভুলে গেলো। (আল্লাহর কথাকে তুচ্ছ ভেবে প্রত্যাখ্যান করল) তাদের এই সীমালঙ্ঘনের পর আমি তাদের জন্যে প্রতিটি কল্যাণকর বস্তুর দরজা খুলে দিলাম অর্থাৎ তাদের জন্যে ভোগ বিলাসিতা, খাদ্য সরঞ্জাম, প্রত্যেক সেক্টরে সফলতা, উন্নতি এবং উন্নয়ন বৃদ্ধির দরজাসমূহ খুলে দিলাম। শেষ পর্যন্ত যখন তারা আমার দানকৃত কল্যাণকর বস্তুসমূহ পাওয়ার পর আনন্দিত, উল্লসিত এবং গর্বিত হয়ে উঠল, তারপর হঠাৎ একদিন আমি সমস্ত কল্যাণকর বস্তুর দরজাসমূহ বা সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার দরজাসমূহ বন্ধ করে দিলাম। আর তারা সেই অবস্থায় হতাশ হয়ে পড়ল। তারপর এই অত্যাচারী সম্প্রদায়ের মূলশিকড় কর্তিত হয়ে গেল এবং সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্যেই, যিনি বিশ্বজগতের কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালনকারী বা সবকিছুর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণকারী ‘রব’ (সূরা আনআম ৪৪-৪৫)। 
নিশ্চয়ই আমিই হলাম ‘আল্লাহ’। অতএব আমার আইনের অধীনে থাকো (সূরা ত্বা'হা ১৪-১৪)।
তোমরা কি ভাবনা মুক্ত হয়ে গিয়েছো যে, আকাশে যিনি আছেন, তিনি তোমাদেরসহ ভূমিকে ধসিয়ে দেবেন না? অথবা তোমাদের ভূগর্ভের বিলীন করে দেবেন না? এমন অবস্থায় যে ভূভাগ তথা জমিন (আল্লাহর নির্দেশে) আকস্মিকভাবে থরথর করে কাঁপতে থাকবে বা ভূমিকম্পকে চলমান করে দেওয়া হবে (সূরা মুলক ১৬-১৭/১৬)।
নাকি তোমরা ভাবনামুক্ত হয়ে গিয়েছো যে আকাশে যিনি আছেন, তিনি তোমাদের ওপর কংকরবর্ষী ঝঞ্ঝা-বৃষ্টি কিংবা প্রস্তর-বৃষ্টি বর্ষণ করার হুকুম দেবেন না? (যদি আমি এমন করার হুকুম করি) তখন তোমরা জানতে পারবে বা উপলব্ধি করবে, কেমন ছিল আমার সতর্কবাণীর পথ-নির্দেশ (সূরা মুলক ১৬-১৭-১৭)
তারপর আমি ফেরাউনের অনুসারীদেরকে কয়েক বছর পর্যন্ত দুর্ভিক্ষে রেখেছিলাম এবং অজন্ম ও ফসলহানি দ্বারা বিপন্ন করেছিলাম। (সংকটাপন্ন এবং বিপদগ্রস্ত অবস্থায় রেখেছিলাম) উদ্দেশ্য ছিল তারা হয়তো আমার পথ-নির্দেশ গ্রহণ করবে এবং আমার প্রতি বিশ্বাস আনয়ন করবে। (আমার আধিপত্য স্বীকার করে নেবে) (সূরা আ'রাফ ১৩০-১৩০)
জনপদের অধিবাসীরা কি ভাবনামুক্ত হয়ে গিয়েছে সেই আল্লাহর বিষয়ে যে, তিনি তাদের ওপর ঘুমন্ত অবস্থায় শাস্তি পাঠাবেন না? যে শাস্তি তাদের গ্রাস করে ফেলবে! নাকি জনপদের অধিবাসীরা চিন্তামুক্ত হয়ে গিয়েছে এই বিষয়ে যে, আমি তাদের ওপর শাস্তি পাঠাব না, এমন অবস্থায় যে যখন তারা আমোদ-প্রমোদে লিপ্ত ছিল (সূরা আরাফ ৯৭-৯৮)।
আপনি কি দেখেননি আপনার রব আদ বংশের ইরামগোত্রের সাথে কি আচরণ করেছিলেন? 
লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিস্ট ও ইতিহাস বিশেষজ্ঞ
বিডি প্রতিদিন/কালাম
সম্পাদক : নঈম নিজাম,
নির্বাহী সম্পাদক : পীর হাবিবুর রহমান । বসুন্ধরা মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে ময়নাল হোসেন চৌধুরী কর্তৃক প্লট নং-৩৭১/এ, ব্লক-ডি, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, বারিধারা, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেড প্লট নং-সি/৫২, ব্লক-কে, বসুন্ধরা, খিলক্ষেত, বাড্ডা, ঢাকা-১২২৯ ও কালিবালা দ্বিতীয় বাইপাস রোড, বগুড়া থেকে মুদ্রিত।
ফোন : পিএবিএক্স-০৯৬১২১২০০০০, ৮৪৩২৩৬১-৩, ফ্যাক্স : বার্তা-৮৪৩২৩৬৪, ফ্যাক্স : বিজ্ঞাপন-৮৪৩২৩৬৫।

Related Keywords

Bangladesh , Al Jonah , Al Ahzab , Al Baqara , Al Saba , Al Yasin , , View You Re , Food Equipment , Central Introduction , Reflections Free , Rob Ad Dynasty , பங்களாதேஷ் , அல் கசாபி , அல் சபா , அல் யாசின் , உணவு உபகரணங்கள் ,

© 2025 Vimarsana