"গোপন সামর&#

"গোপন সামরিক বিচার, ফাঁসির আসামীর কনডেম সেলে পাঁচ সেনা অফিসারের নির্জন কারাযাপন এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নিকট পাঠানো চিঠি"


গত বছরের ৪ঠা নভেম্বর, ২০১০ তারিখে গোপন সামরিক আদালতের বিশেষ রায়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পাঁচ সেনা কর্মকর্তাকে পাঁচ বছরের জেল দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয় (তারা সর্বশেষ বিডিআর সদর দপ্তর, পিলখানায় কর্মরত ছিলেন)। – উক্ত পাঁচ সেনা কর্মকর্তার চারজনই  প্রাক্তন ক্যাডেট।বেসামরিক এলাকা মতিঝিলে ২০০৯ সালের ২১শে অক্টোবর, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলার ঘটনায় পাঁচ সেনা অফিসারকে অভিযুক্ত করে দীর্ঘ এক বছর অন্তরীণ করে রাখার পর উক্ত সাজা প্রদান করা হয়।
এ প্রসঙ্গে, বিবিসি বাংলার নিচের সংবাদটি পড়ুন প্রথমে এবং অতঃপর পড়ুন ০৯/৫/২০১১ তারিখে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নিকট পাঠানো চিঠি
5 নভেম্বর 2010 – 18:02
বাংলাদেশে ৫ সেনা কর্মকর্তার জেল
কাদির কল্লোল
বিবিসি বাংলা, ঢাকা
বাংলাদেশে সেনাবিহিনীর একজন সিনিয়র একজন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, সামরিক আদালতে পাঁচজন সেনা কর্মকর্তার প্রত্যেকের পাঁচ বছর করে জেল হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপসকে হত্যার চেষ্টার সাথে জড়িত থাকার দায়ে সাজাপ্রাপ্ত এই সেনা কর্মকর্তাদের একজন মেজর এবং বাকি চারজন ক্যাপ্টেন পদ মর্যাদার। তাদের শুক্রবার সন্ধ্যার আগে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়েছে বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
সেনা আইনের ব্যাপারে অন্যতম একজন বিশেষজ্ঞ অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আমিন আহমেদ চৌধুরি বলেছেন, ফৌজদারি অপরাধে সামরিক আদালতে কারো তিন মাসের বেশি সাজা হলে তাকে সেই সাজা ভোগ করতে হয় সাধারণ কারাগারে।
এই আইন অনুযায়ীই সাজাপ্রাপ্ত পাঁচজন সেনা কর্মকর্তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপসের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলার ঘটনাটি ঘটেছিল চ।
তাতে তিনি বেঁচে গেলেও ১৩জন আহত হয়েছিল। ঘটনাটির ব্যাপারে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে মামলায় প্রথমে ডিবি পুলিশ তদন্ত করছিল। সেই তদন্তে পাঁচজন সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে।
তখন ডিবি পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার জের ধরে হত্যার চেষ্টার ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে।
এই প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনী বিষয়টি তদন্ত করে, যে তদন্তের ভিত্তিতে এখন পাঁচজন সেনাকর্মকর্তার সাজা হলো।
অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আমিন আহমেদ চৌধুরি বলেছেন , সামরিক আদালতে বিচারের ক্ষেত্রে অভিযুক্ত আইনজীবীর সহায়তা নিতে পারেন। এই আদালতে সব নিয়ম মেনেই বিচার প্রক্রিয়া চলে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
জেনারেল চৌধুরি আরও জানিয়েছেন, সামরিক আদালতে সাজা হলে অন্য কোন আদালতে যাওয়ার সুযোগ থাকে না । তবে রাষ্ট্রপতির কাছে আপিল করার সুযোগ রয়েছে।
সামরিক আদালতে এই বিচার হওয়ার প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কিছু বলা হয় নি। সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপসের দিক থেকেও কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নি ।
এবার পড়ুন “০৯/৫/২০১১ তারিখে সেনা অফিসারের পরিবারের পক্ষ থেকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নিকট পাঠানো চিঠিঃ”
মাননীয়
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন,
লালমাটিয়া, ঢাকা।
বিষয়ঃ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন – ২০০৯ এর ১২(ক) ধারা অনুযায়ী, পাঁচ সেনা অফিসারের সাথে মৌলিক নাগরিক অধিকার ও মানবাধিকার লংঘন এবং গোপন সামরিক আদালত গঠনের মাধ্যমে গোপন রায় তৈরি করে ও কোনরুপ আপীল করবার সুযোগ না দিয়ে, কেবলমাত্র নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরনের ঘটনার তদন্ত ও প্রতিকার চেয়ে আবেদন।
মহোদয়,
যথাযথ সম্মানপ্রদর্শনপূর্বক জ্ঞাতব্য, গত ০৩-০৬-২০১০ তারিখে আপনার বরাবর পাঁচ সেনা অফিসারের সাথে মানবাধিকার লংঘনের বিষয়ে আবেদন করেছিলাম (সূত্রঃ জামাক/অভিযোগ-১১৬/২২/০৮/১১১৮(১))। – উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে তখনকার গৃহীত পদক্ষেপগুলোর জন্যে কমিশনের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। উক্ত আবেদনে আমি আপনার কাছে যেসব আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করেছিলাম, সেগুলোকে সত্য প্রমাণ করে পাঁচ সেনা অফিসারকে গোপন সামরিক আদালত গঠনের মাধ্যমে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্যে কোনরুপ সুযোগ না দিয়ে গোপন রায় প্রদান করে ৪ঠা নভেম্বর, ২০১০ তারিখে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
সেনা অফিসারদের সাথে মানবাধিকার লংঘনসহ অন্যায় ও অবিচারের যেসব ঘটনা ঘটেছে তা নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ
– ২১ শে অক্টোবর, ২০০৯ তারিখে বেসামরিক এলাকা মতিঝিলে সংঘটিত বোমা হামলার চার্জশীট এখন পর্যন্ত দেয়া হয়নি। আদালতের পুনঃ পুনঃ সময় বেঁধে দেয়া সত্বেও পুলিশ বারংবার সময় পিছিয়ে দিচ্ছে (জানুয়ারী, ২০১১ পর্যন্ত ৬ বারে ১৫ মাস সময় পেছানো হয়েছে । মামলার বাদী আসামীর যে তালিকা দিয়েছেন, তাতে কোন সেনা অফিসারকে সন্দেহভাজন হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়নি। তথাপি, যে অভিযোগের এখন পর্যন্ত চার্জশীট দেয়া হয়নি, বেসামরিক এলাকায় সংঘটিত ঘটনার জন্য পাঁচ সামরিক অফিসার এখন সামরিক আদালতে পাঁচ বছরের জন্যে দন্ডিত হয়ে বর্তমানে কারাগারে সাজা ভোগ করছেন।
-তদন্ত কমিটির নিকট বেসামরিক এলাকায় বোমা হামলার ঘটনার সময় সেনা অফিসারেরা বিডিআর সদর দপ্তরে কর্মরত থাকবার উপযুক্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ ও অ্যালিবাই দেখালে ও কমিটি সেগুলো গ্রাহ্য করেনি, ক্ষেত্রবিশেষে সেসব সাক্ষীদের সাক্ষ্য নিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে।
– আলোচ্য অভিযোগ তদন্তের জন্য নভেম্বর ২০০৯ সালে গঠিত তদন্ত আদালতে অভিযুক্তরা নিজেদের defend করতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু রহস্যজনকভাবে উক্ত তদন্ত প্রতিবেদন তৈরী হবার পর তা প্রকাশ না করে পরবর্তীতে ২য় তদন্ত কমিটি গঠন করে পরিবারের কাউকে কিছু জানানোর সুযোগ না দিয়ে অফিসারদের Army Interrogation Cell (AIC) এ শারীরিক নির্যাতনের মাধ্যমে স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য নেয়া হয়। তদন্তের নামে ২৭-০৪-২০১০ তারিখ থেকে interrogation cell এ নিয়ে সেনা অফিসারদের দীর্ঘ এক মাস চোখ ও হাত বেঁধে অমানবিক শারীরিক নির্যাতন ও প্রাণনাশের ভয়-ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা করা হয়।
-এমতাবস্থায় আমরা উৎকন্ঠিত পরিবারের সদস্যরা সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে বারংবার যোগাযোগ করে জানতে পারি, উক্ত সেনা অফিসারেরা তাদের উপর আনীত বোমা হামলার সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ স্বীকার না করা পর্যন্ত বিশেষ সেলে (AIC) তদন্ত অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত চলবে। “উপরোক্ত তদন্তের অন্যতম উদ্দেশ্য জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায়“- সেনাবাহিনীর দায়িত্বশীল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার (৪৬ ব্রিগেড এর প্রধান)নিকট হতে এরূপ বক্তব্য শুনে (০৯মে, ২০১০ তারিখে) আমরা হতবিহ্বল হয়ে উক্ত তদন্তের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলি এবং নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সততা, নিষ্ঠা ও দেশপ্রেমের সাথে কাজ করে যাওয়া এইসব অফিসারদের উপর শারীরিক নির্যাতনের মাধ্যমে জোরপূর্বক মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায়ের প্রচেষ্টায় মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ তুলি। উক্ত কর্মকর্তা একথা শুনে কিছুক্ষণ নিশ্চুপ ছিলেন এবং আমাদেরকে আর কোন জবাব না দিয়ে শুধু বলেন, “আপনারা প্রয়োজন মনে করলে সিভিল কোর্টে আইনের আশ্রয় নিতে পারেন।“ সেনাবাহিনীর কার্যধারা শুধুমাত্র সেনা আইনে চলে এবং সিভিল কোর্ট এর প্রতিকারের সুযোগ রাখে না – এই বিশ্বাস থেকেই এই কথা হয়তো তিনি বলে দিলেন।
-সেনা অফিসারদের সাথে সাক্ষাৎ ও তার প্রতি ন্যায়বিচারের মানবিক দাবি নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কাছে ০৩/০৬/২০১০ তারিখে আবেদন জানানো হয়েছিল। এ ব্যাপারে মানবাধিকার কমিশনের কাছে পাঠানো অভিযোগের প্রেক্ষিতে [সূত্রঃ জামাক/অভিযোগ-১১৬/২২/০৮/১১১৮(১)] প্রতিরক্ষা সচিবের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর সচিবালয়ের কাছে পাঠানো পত্রের জবাব পাঠানোর জন্য কমিশনের বেঁধে দেয়া সময়সীমা ১লা আগস্ট এর মধ্যে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোন জবাব কমিশনে পাঠানো হয়নি। মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে পুনঃ পুনঃ চিঠি পাঠানোর পর ‘সেনা অফিসারদের উপর মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগে’র বিপরীতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে [স্মারক নং: প্রম/বিবিধ-৫/২০০৬/ডি-১/১৬০২; তারিখ-৩১/৮/২০১০: জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কর্তৃক গ্রহনের তারিখঃ ২৬/০৯/১০; (৬৫২)] অবশেষে বলা হয়ঃ
“গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫২(১) এর ব্যাখা অনুযায়ী বাংলাদেশ সেনাবাহিনী একটি শৃংখলা বাহিনী বিধায় উক্ত বাহিনীর সদস্যদের যথাযথ কর্তব্য পালন এবং উক্ত বাহিনীতে শৃংখলা নিশ্চিত করার প্রয়োজনে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪৫ এর মাধ্যমে সেনাবাহিনীর সদস্যদের ক্ষেত্রে সংবিধানের তৃতীয়ভাগে বর্ণিত মৌলিক অধিকার সম্পর্কিত বিধানসমুহের প্রযোজ্যতা রহিত করা হয়েছে।”
‘সেনাবাহিনীর মতো শৃংখলাবদ্ধ বাহিনী তার কর্মরত অফিসারদের প্রতি মৌলিক অধিকারটুকু দিতে ও বীতশ্রদ্ধ’,- আমাদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসের অধিকারী সেনাবাহিনীর জন্যে এটা কলংকজনক এবং এইসব সেনা অফিসার ও তাদের স্বজনদের প্রতি চরম অমানবিক আচরণ এবং দেশের সংবিধানের মৌলিক অধিকার সম্পর্কিত ধারাসমূহের মূল আদর্শের সাথে সাংঘর্ষিক।
– পরিবারকে কোনরুপ অবহিত করার সুযোগ না দিয়ে সেনা অফিসারদের নির্যাতন (AIC) সেলে নেবার পর পরিবারের সাথে কোনরুপ যোগাযোগ করতে দেয়া হয়নি। এপ্রিল থেকে নভেম্বর-২০১০, এই সাত মাসে কেবল ঈদুল ফিতরের দিন একবারের জন্য দেখা করতে দেয়া হয়েছে।
– সেনা অফিসারদের বিচারের

Related Keywords

Bangladesh , Noor Taposh , Amin Ahmed Chowdhury , Civil Court , Mothera Court , Army Officers Roy , Price Court , Courta Roy , Army Officers Division , Bangladesh Army , Army Officers Ryan , Human Rights Commission , Army Secretariat , Express , Court Roy , National Human Rights Commission Law , Army Law Price , Army Officers , Armya It , Court Re , Court Ryan , Army Officers Re , National Human Rights Commission , Army Officers On Human Rights , Db Police , Court Special , News Read , Army Act , General Chowdhury , Human Rights Commission Law , Human Rights , Secret Roy , March October , For November , For Commission , Republicr Constitution Section , Constitution Section , Constitution May Original , Her Working Officers , Original Right , Constitution Original , Eid Fitr , March September , பங்களாதேஷ் , சிவில் நீதிமன்றம் , ப்ரைஸ் நீதிமன்றம் , பங்களாதேஷ் இராணுவம் , மனிதன் உரிமைகள் தரகு , இராணுவம் செயலகம் , எக்ஸ்பிரஸ் , இராணுவம் அதிகாரிகள் , நீதிமன்றம் ரே , தேசிய மனிதன் உரிமைகள் தரகு , டப் போலீஸ் , நீதிமன்றம் சிறப்பு , இராணுவம் நாடகம் , மனிதன் உரிமைகள் , அணிவகுப்பு அக்டோபர் , க்கு நவம்பர் , அரசியலமைப்பு பிரிவு , ஒரிஜிநல் சரி , எய்ட் பீற்ர் , அணிவகுப்பு செப்டம்பர் ,

© 2025 Vimarsana