Anandabazar In East Kolkata wetlands, the number of fish ponds or wetlands has increased significantly জলাভূমিতে বেড়েছে ভেড়ির অংশ, রিপোর্ট রাজ্যের নিজস্ব সংবাদদাতা কলকাতা ০২ জুলাই ২০২১ ০৬:৩৩ প্রতীকী ছবি। পূর্ব কলকাতা জলাভূমিতে মাছের ভেড়ি বা জলাভূমির অংশ উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০০-২০১৯ সালের মধ্যে ঘটেছে এই বৃদ্ধি। ২০১৫ সাল থেকেই ভেড়ির অংশের বৃদ্ধি গতি পেয়েছে। এমনটাই ধরা পড়েছে উপগ্রহ-চিত্রে। জাতীয় পরিবেশ আদালতে গত মাসে এই মর্মেই একটি রিপোর্ট দাখিল করেছে রাজ্য পরিবেশ দফতর। যদিও মাছের ভেড়ির অংশ বৃদ্ধি পাওয়াকে গুরুত্ব দিতে নারাজ পরিবেশকর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, মাছের ভেড়ি লাভজনক ব্যবসা। তাই সেই অংশ বৃদ্ধি পাওয়া দেখে সার্বিক জলাভূমির মূল্যায়ন করা উচিত হবে না। কারণ, মাছের ভেড়ি বাদ দিয়ে জলাভূমির ভিতরে যে স্থলভাগ রয়েছে, সেখানেই বেআইনি নির্মাণ, আবর্জনা ফেলা-সহ একাধিক কাজকর্ম হয়ে থাকে। তথ্য বলছে, সাড়ে ১২ হাজার হেক্টর জুড়ে বিস্তৃত এই জলাভূমির জলভাগের অংশ প্রায় সাড়ে সাত হাজার হেক্টর। বাকি অংশ স্থলভাগের অন্তর্গত। পরিবেশকর্মীদের আরও বক্তব্য, জলাভূমি সংরক্ষণে রাজ্য সরকারের তরফে ‘ইন্টিগ্রেটেড ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান’ (আইএমপি) তৈরি করে আর্থিক সহায়তার জন্য মার্চ মাসেই কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের কাছে পাঠানো হয়েছিল। এপ্রিল মাসে মন্ত্রকের তরফে চিঠি দিয়ে সরকারকে ‘ন্যাশনাল প্ল্যান ফর কনজ়ার্ভেশন অব অ্যাকোয়াটিক ইকো-সিস্টেম’-এর নিয়ম মেনে সংশ্লিষ্ট আইএমপি-তে প্রয়োজনীয় সংশোধন করে পাঠাতে বলা হয়। কিন্তু ওই মামলার আবেদনকারী সুভাষ দত্তের বক্তব্য, ‘‘সংশোধিত আইএমপি এখনও পাঠিয়ে উঠতে পারেনি রাজ্য সরকার!’’ যার পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশ আদালত সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, এখনও সংশোধিত আইএমপি পাঠানো না হয়ে থাকলে মামলার পরবর্তী শুনানির আগে তা যেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের কাছে পাঠানো হয়। এই নিয়ে একটি হলফনামাও জমা দেয় রাজ্য। সরকারের তরফে পরিবেশ আদালতে দাখিল করা রিপোর্টে জানানো হয়েছে, পূর্ব কলকাতা জলাভূমি সংরক্ষণে একটি ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ (২০২১-’২৬) তৈরি করা হয়েছে। তার সঙ্গে ওখানকার জীববৈচিত্রের তালিকাও প্রস্তুত করা হয়েছে। অ্যাকশন প্ল্যান অনুযায়ী জলাভূমির প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের কাজ চালিয়ে যাওয়া হবে। Advertisement