ফল প্রকাশ &#

ফল প্রকাশ করেও নতুন বিতর্কে এনটিআরসিএ


ফল প্রকাশ করেও নতুন বিতর্কে এনটিআরসিএ
প্রকাশিত: ১০:২৫, ১৭ জুলাই ২০২১  
আপডেট: ১১:৫৯, ১৭ জুলাই ২০২১
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ‌্যে নিবন্ধন পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) রাতে এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়।
ফল প্রকাশে খুশি নিয়োগ প্রার্থীরা। আবার কেউ অখুশিও হয়েছেন। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্তরা ও বঞ্চিতরা। তবে কেউ কেউ বলছেন এবারের নিয়োগে অসংখ্য যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ বঞ্চিত হয়েছে। তাদের মতে, ৩৫ এর বেশি বয়সীদের আবেদনের সুযোগ থাকায় ৩৫ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ অনেকে বঞ্চিত হয়েছে। এছাড়া ১৩তম নিবন্ধনধারীদের জন্য ব্লক পোস্ট রাখাটাকে ঠিকভাবে নেননি সুপারিশ বঞ্চিতরা।
এছাড়া প্রথম দফার ফলে নন এমপিও পোস্টের কোনো সুপারিশ করা হয়নি। তাছাড়া ১৫তমদের থেকে তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে কাউকে সুপারিশ করা হয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মাহমুদ হাসান নামের এক নিয়োগ প্রার্থী বলেন, ‘৫৪ হাজার সিটের মধ্যে অর্ধেকই চলে ৩৫ বয়সোর্দ্ধদের মাঝে। তাদের আগের নিয়োগ পরীক্ষায় মার্কস বেশি ছিল। তাদের আবেদনের সুযোগের নামে এ বদলি ব্যবসায় এনটিআরসিএ আমাদের ঠকিয়েছে। অবশ্যই রাস্তায় নামা লাগবে তারা আমাদের সঙ্গে রসিকতা করছে।’
মাইনুল ইসলাম নামের এক প্রার্থী বলেন, ‘সরকারের অর্ধেকের বেশি লোকই আগের নিয়োগপ্রাপ্ত। জাস্ট এবার বদলি হয়েছে। তাদেরকে নতুন করে বেতন দেওয়া লাগছে না। এটা এনটিআরসিএর বড় একটা চালাকি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক নিয়োগ প্রার্থী বলেন, ‘সরকার টাকা বাঁচাতে চাইলে গণবিজ্ঞপ্তি না দিলেই পারতো। এরকম প্রতারণা করার কোনো মানে হয় না। ৬০ এর ওপর মার্ক পেয়ে যদি টেকা না যায় তাহলে খুবই দুর্ভাগ্যজনক। ২য় গণবিজ্ঞপ্তিতে এর চেয়ে অনেক কম মার্ক নিয়েও নিয়োগ পেয়েছে।’
জসিম উদ্দিন নামের এক নিয়োগ প্রার্থী বলেন, ‘কারো জন্য বয়সসীমা সীমাবদ্ধ। আবার কারো জন্য কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। এটা কেমন কথা? হয় বয়সসীমা তুলে দিবে। নইলে বয়সসীমা রাখবে। একবার এক পদ্ধতি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’
এনটিআরসিএ সচিব ড. মাহবুবুল করিম বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি শতভাগ স্বচ্ছভাবে নিয়োগ দিতে। এর জন্য আমাদের অনেক পরিশ্রম করেছি। এখানে সফটওয়্যারে সবকিছু হয়। কোনো অনিয়মের সুযোগ নেই। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি এবার উচ্চ আদালতের রায়ের ভিত্তিতে যথাযথ নিয়ম মেনেই দেওয়া হয়েছিল। কোনো অনিয়মের সুযোগ নেই।’
দীর্ঘদিন এ ফলের জন্য আন্দোলন করছিলেন চাকরিপ্রত‌্যাশীরা। অবশেষে তারা ফল পেয়েছেন। করোনা সংকটের এমন দুঃসময়ে ওই বিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশ হওয়ায় প্রায় অর্ধলাখ বেকারের মুখে হাসি ফুটছে। শিক্ষামন্ত্রী ও সংশ্লিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি ফোরামের সভাপতি শান্ত আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল্লাহ রাজু।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট এ নিয়োগের বিষয়ে একটি রায় দিয়েছিলেন। ওই রায়ে কয়েক দফা নির্দেশনা ছিল। তার মধ্যে একটি নির্দেশনা ছিল—সম্মিলিত মেধাতালিকা অনুযায়ী রিট আবেদনকারী এবং অন্য আবেদনকারীদের নামে সনদ জারি করতে হবে। কিন্ত ২ বছরেও রায় বাস্তবায়ন না করায় আদালত অবমাননার অভিযোগ করেন রিটকারীরা। তাদের আবেদনের ওপর শুনানি করে ২০১৯ সালে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় ৫৪ হাজার পদে নিয়োগের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে এনটিআরসিএ। এরপর নিয়োগ বিরত রাখতে একটি আবেদন করেন রিটকারীরা। তাদের আবেদনের ভিত্তিতে গত ৬ মে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি স্থগিতের আদেশ দেন হাইকোর্ট। এইসঙ্গে প্রথম থেকে ১২তম নিবন্ধন পরীক্ষার সনদধারীদের মধ্যে যারা বঞ্চিত মনে করে আদালতে গিয়েছিলেন, তাদের সাত দিনের মধ্যে নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এরপর ৩১ মে নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সনদধারী ও অবমাননার আবেদনকারীদের উচ্চ আদালতের রায়ের নির্দেশনা অনুসারে চার সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগের সুপারিশ করতে এনটিআরসিএ-কে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে এনটিআরিসিএ। এ আপিলের ভিত্তিতে রিটকারীদের আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এতে শিক্ষক নিয়োগের সব বাধা কেটে যায়।
ঢাকা/বুলাকী
সম্পর্কিত বিষয়:
আরো পড়ুন  

Related Keywords

Mahbub Karim , Habibullah Raju , Jasim Ahmed , Court Roy , Court Roy Instructions Price , High Court , Marx Report , Forum President , Editor Habibullah Raju , December High Court , May Registration , மாஹ்புப் கரீம் , உயர் நீதிமன்றம் , மன்றம் ப்ரெஸிடெஂட் , டிசம்பர் உயர் நீதிமன்றம் , இருக்கலாம் பதிவு ,

© 2025 Vimarsana