vimarsana.com


০ 1 minute read
হাসান মেহেদী জয়: ১৯৭০ সালের দিকে জাপানের অর্থনীতি সবেমাত্র সমৃদ্ধ হতে শুরু করে, এবং নেসলে এই ব্যাপারটিকে ডলারে রুপান্তরের চেষ্টা চালায়। নেসলে স্বাভাবিক ভাবেই “কফি” কেই প্রাধান্য দেয় জাপানের মার্কেটে এন্ট্রি’র জন্য। নেসলে শুরুতেই জাপানের মার্কেট এনালাইসিস করে, তারা জানতো জাপানের মানুষের প্রধান পছন্দ হচ্ছে “চা”, রিসার্চে ফোকাস গ্রুপের তথ্য অনুসারে জাপানের মানুষ নেসলের কফি কে ভালোই পজিটিভ রেস্পন্স দেয়।
যেটি নেসলের টপ লেভেলকে এক্সাইটেড করে তোলে তারা ফুল গিয়ারে জাপানের প্রত্যেকটি শপের সেল্ফে নেসলে কে রাখতে চায়। কিছুদিন পরেই বাস্তবতা এসে যায় নেসলের সামনে, নেসলের সেল জাপানে মুখ থুবড়ে পরে। আর, খালি কফি শপের চেয়ে ডিপ্রেসিং কিছুই নেই, এছাড়াও প্রত্যেকটি স্ট্যাডিই দেখাছিলো নেসলে কফিই মার্কেটের নিউ বিগ থিং হবে। কিন্তু জাপানের কনজুমার চা থেকে কফি তে শিফট হতে পারেনি।
এইরকম সিচুয়েশনে নেসলে তাদের মাস্টারস্টোক টি দেয়, তারা নিয়ে আসে মাকেটিং এর সুপারস্টার “Clotaire Rapaille” – কে। Clotaire টিপিক্যাল কোনো মার্কেটার না তিনি আসলে প্রথমত একজন চাইল্ড সাইকাটিস্ট, তার এত বছরের এক্সপেরিয়েন্সে তিনি এটি বুঝতে পারেন যে, মানুষ কখনোই বলতে পারে না তারা আসলে কি চায়, মানুষের বেশিরভাগ বায়িং ডিসিশন তারা আনকন্সাস মাইন্ডে নেয়, কিছুসংখ্যক মানুষ ব্যাপারটি বুঝতে পারে এবং কন্সান্স মাইন্ডে ডিসিশন নেয়, Clotaire এটি কে বলেন ” Reptilian Instinct “. এটির একটি উদাহরণ হিসেবে তার একটি কাজকে দেখানো যায়, তখনকার জিপের লেটেস্ট মডেলের ভালো সেল হচ্ছিলো না, কোম্পানি গুলো ব্যাপারটি বুঝতেও পারছিলো না কেনো এমনটি হচ্ছে। Clotaire তখন তাদের বলেন, জিপের হেডলাইটের ডিজাইন রাউন্ড শেপে ফিরিয়ে আনতে।
কারন, আমেরিকার কনজুমারের কাছে জিপ মানে ফ্রিডম, জিপ মানে ওয়াইল্ডনেস। কনজুমারের কাছে জিপ হচ্ছে মডার্ন ঘোড়া। কিন্ত জিপ তাদের হেডলাইট রাউন্ড থেকে স্কোয়ার শেপে নিয়ে আসে যেটি কোনোভাবেই ঘোড়ার চোখের মতন দেখাছিলো না, পরবর্তী তে জিপ আবার তাদের হেডলাইট রাউন্ড শেপে ব্যাক করায়, আর তাদের সেল রেকর্ড ব্রেক করে পরবর্তীতে। এখন আবার আসা যাক, জাপানের নেসলে তে। Clotaire আসার পর তিনি বুঝতে পারেন জাপানি কনজুমারের সাথে কফির কোনো ইমোশনাল কানেকশন নেই, কারণ, জাপানের বাচ্চারাও তাদের পরিবারের সবাইকে চা খেতে দেখে আসছে।
চায়ে সুবাসে তাদের বেড়ে উঠা। তো, Clotaire নেসলে কে কি রেকোমেন্ড করলো? হ্যা, তিনি ” কফি ক্যান্ডি” সাজেস্ট করেন। হঠাৎ করেই জাপানের বাচ্চারা কফি ক্যান্ডির মধ্য থেকে কফির টেস্ট পেতে শুরু করে, এরপর নেসলে নিয়ে আসে নেসলে ইন্টেন্স কফি ড্রিংকস এবং শেষে জাপানের প্রত্যেকটি মানুষের মুখে নেসলে কফির টেস্ট এসে পরে তখন এক কাপ কফি মানেই নেসলে।

Related Keywords

Japan ,United States ,Japanese ,Hassan Mehdi ,Nestle ,Japan Nestle Rise ,Japan Market For ,Japan Market Analysis ,Price Japan ,Nestle Market New Big Thing ,Japan Consumer ,Jeep Design ,Being Modern ,Japan Nestle ,Connection Not ,ஜப்பான் ,ஒன்றுபட்டது மாநிலங்களில் ,ஜப்பானிய ,ஹாசன் மெடீ ,கூடு ,ஜப்பான் சந்தை பகுப்பாய்வு ,ப்ரைஸ் ஜப்பான் ,ஜப்பான் நுகர்வோர் ,ஜீப் வடிவமைப்பு ,இருப்பது நவீன ,

© 2025 Vimarsana

vimarsana.com © 2020. All Rights Reserved.