Live Breaking News & Updates on Catholic national

Stay updated with breaking news from Catholic national. Get real-time updates on events, politics, business, and more. Visit us for reliable news and exclusive interviews.

Fr Robert Billings inducted as Rector of Walsingham

Fr Robert Billings inducted as Rector of Walsingham
indcatholicnews.com - get the latest breaking news, showbiz & celebrity photos, sport news & rumours, viral videos and top stories from indcatholicnews.com Daily Mail and Mail on Sunday newspapers.

Bishop-paul-swarbrick , Bishop-collins , Kevin-smith , Bishop-peter , Michael-campbell , Bishop-peter-collins , National-shrine , His-church , Catholic-national-shrine , Diocese-of-east-anglia , Bishop-emeritus-hopes , Bishop-emeritus

工商社論》RCEP明年生效 對南向國家要有三大準備 - 財經要聞

工商社論》RCEP明年生效 對南向國家要有三大準備 - 財經要聞
chinatimes.com - get the latest breaking news, showbiz & celebrity photos, sport news & rumours, viral videos and top stories from chinatimes.com Daily Mail and Mail on Sunday newspapers.

Yushan , Jiangsu , China , Australia , Taiwan , Philippines , United-states , New-zealand , Thailand , Hong-kong , Singapore , Vietnam

Editiepajot : HERNE - Na zijn echtgenote pas enkele weken geleden nu ook Honoré Van Ongeval overleden

Editiepajot : HERNE - Na zijn echtgenote pas enkele weken geleden nu ook Honoré Van Ongeval overleden
editiepajot.com - get the latest breaking news, showbiz & celebrity photos, sport news & rumours, viral videos and top stories from editiepajot.com Daily Mail and Mail on Sunday newspapers.

Belgium , Belgian , Church-council , Technical-division-of-it , National-breeding-of-it , Paulus-church , Catholic-national , Honore-of-accident , Archive-photo-barely , For-some , Andr-able

菲律賓LGBT權益現況概觀 社會接納度高達73% | 全球 | NOWnews今日新聞

菲律賓LGBT權益現況概觀 社會接納度高達73% | 全球 | NOWnews今日新聞
nownews.com - get the latest breaking news, showbiz & celebrity photos, sport news & rumours, viral videos and top stories from nownews.com Daily Mail and Mail on Sunday newspapers.

China , Taiwan , Philippines , Japan , Junior , Philippines-agency , Japan-south-korea-india-indonesia-island-national , Senate-hospital , Catholic-national , Service-or , All-asia

শেখ হাসিনা কেন নোবেল পেলেন না | 1052270 | কালের কণ্ঠ


শেখ হাসিনাকে নিয়ে আলোচনা, সমালোচনার শেষ নেই। হুট করে এমন হচ্ছে তা-ও নয়। ১৯৮১ সালে তিনি দলের দায়িত্ব নেন। প্রবীণ রাজনীতিবিদরা সেদিন পাশে থেকেও মন থেকে তাঁকে মেনে নেননি। দলের ভিতরেই তৈরি হয় গভীর ষড়যন্ত্র। তিন বছর না যেতেই প্রথম ভাঙনে সবকিছু বেরিয়ে আসে। পরিবার-পরিজন হারানোর শোক শক্তিতে রূপান্তর করে দেশে আসেন তিনি। নিজের বেদনার অশ্রুর সঙ্গে আকাশের কান্নার স্রোতধারায় দলের দায়িত্ব নেন।  ভাবতেও পারেননি পরিবারের সবাইকে হারাবেন। বাবার আসনে এসে বসবেন। পদে পদে বাধা-বিপত্তি আর চ্যালেঞ্জ সামাল দেবেন। ঘরে-বাইরে শুরু থেকেই ছিল নানামুখী ষড়যন্ত্র আর চক্রান্ত। ঠান্ডা মাথায় তিনি সব মোকাবিলা করেন। শুরু করেন ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার। নতুনভাবে সাজাতে থাকেন সবকিছু। সাধারণ মানুষের সামনে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে আনা অপপ্রচার দূর করে সত্যিকার ইতিহাস জানাতে ছুটতে থাকেন সারা দেশ। ক্লান্তিহীন ছিল সে যাত্রা। আজকের সময়ের সঙ্গে মেলানো যাবে না সেই দিনগুলোকে। ’৮১ সালে যাব না। ২০০১ সালের পরের সঙ্গেও হিসাব মিলবে না।
ইতিহাস তার আপন মহিমায় চলে। শেখ হাসিনার ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারের খবরটি পড়ছিলাম। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে অনেক কথা বলেছে। যুক্তরাজ্য মানবাধিকার সংস্থাও কম যায়নি বলার ক্ষেত্রে। বাংলাদেশ পরিস্থিতি টানতে গিয়ে সমালোচনা করেছে প্রধানমন্ত্রীর। মানুষের জন্য বড় পরিসরে কাজ করতে গেলে এমনই হয়। কাজ না করলে সমস্যা নেই। আলোচনাও নেই, সমালোচনাও নেই। এ দেশে ঘরে বসে থাকলে কারও কিছু যায় আসে না। কাজ করলেই সমস্যা। সরকারি দলের কাজ আর বিরোধী দলের কাজ এক হয় না। সরকারি দলের লোকের অভাব নেই। বিরোধী দলের জীবন কষ্টকর। ভেবেছিলাম প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সমালোচনার জবাব আসবে বলিষ্ঠভাবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সোচ্চার হবে। আনুষ্ঠানিক বক্তব্য-বিবৃতি দেবে। বাস্তবে তেমন কিছু চোখে পড়েনি। ঘুমিয়ে আছে সরকারি সব প্রতিষ্ঠান। ভাবখানা এমন- প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বললে কী যায় আসে? সাংবাদিক ইউনিয়ন বিবৃতি দিয়েছে। সরকারের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য আসা জরুরি ছিল। নেতাদের শুধু বক্তৃতাবাজিতে কাজ হয় না। কখনো কখনো সময়োচিত জবাব দিতে হয়। একটা সময় ছিল শেখ হাসিনা নিজেই নিজের মিডিয়া দেখতেন। তাঁর ব্যক্তিগত কর্মীরা যোগাযোগ রাখতেন মিডিয়ার সঙ্গে। জানিয়ে দিতেন নেত্রীর বিভিন্ন খবরাখবর। ক্ষমতাসীন দল আসমান দিয়ে চলে। মিডিয়ার দায়িত্ববান লোকবলের অভাব নেই। প্রতিষ্ঠানের কমতি নেই। সবাই সব বোঝেন, সব জানেন। তাদের জ্ঞান-গরিমার অভাব নেই। শুধু অভাব শেখ হাসিনাকে নিয়ে দেশ-বিদেশে চালানো কুৎসার পাল্টা জবাবদান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পড়লে মনে হয় বাংলাদেশই নেই। সবকিছু শেষ হয়ে গেছে।
দুঃসময়ের শেখ হাসিনাকে কাছ থেকে দেখেছি। এখন তোষামোদকারী চাটুকারদের যুগ চলছে। তারা জানেন না কীভাবে কাজ করতে হয়। সামাল দিতে হয় জটিল পরিস্থিতির। শেখ হাসিনাকে তারা বোঝেন কি না সন্দেহ। ’৯১ সালের নির্বাচনের পরের একটা কথা মনে পড়ছে। সংগঠন নতুনভাবে গোছাতে মাঠে নামেন শেখ হাসিনা। সারা দেশ চষে বেড়াতে থাকেন। দিন-রাতের খবর থাকত না। খাওয়া নেই-দাওয়া নেই সংগঠন আর মানুষের ঘরে ঘরে যেতেন। কাজ করতেন নিরলসভাবে। একবার গেলেন রংপুরে মঙ্গাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে। সারা দিন নেত্রীর সঙ্গে ঘুরে সাংবাদিকরা ক্লান্ত। সন্ধ্যায় কোনোভাবে ঢাকায় খবর পাঠিয়ে বের হন সবাই রাতের রংপুর দেখতে। সার্কিট হাউসে ফিরতে ফিরতে একটু বিলম্ব হয়। জেগে ছিলেন নেত্রী। তিনি সফরসঙ্গী সাংবাদিকদের ডাকলেন। বললেন, তৈরি থেক সবাই। ভোরে নিয়ে যাব নষ্ট ইতিহাসের আসল রূপ দেখতে। বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসার জবাব পাবে। ভোরে ঘুম ভেঙে নেত্রীর সঙ্গে গেলাম কুড়িগ্রামের চিলমারী। রংপুর থেকে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হলেন চারণ সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিন। চিলমারী সদর থেকে মাঝিপাড়া এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের চরে বাসন্তীর বাস। ১৯৭৪ সালে দৈনিক ইত্তেফাকে বাসন্তীর জাল পরা ছবি প্রকাশিত হয়েছিল। পরে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে সে ছবি। স্বাধীন বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষের মূর্তপ্রতীক হিসেবে এ ছবি বঙ্গবন্ধু সরকারকে বিব্রত করে। যার রেশ আওয়ামী লীগকে ’৯১ সালের ভোটেও টানতে হয়েছিল। সেই বাসন্তীকে দেখতে গেলেন শেখ হাসিনা। সঙ্গে একদল সাংবাদিক।
মাঝিপাড়া বাসন্তীর বাড়ি পর্যন্ত গাড়ি যায় না। বেশ কিছুদূর হাঁটতে হয়। হাঁটাহাঁটিতে ক্লান্তি নেই আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর। তিনি গাড়ি থেকে নেমেই হাঁটা শুরু করলেন। আমরা পেছনে পেছনে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা পথ দেখাচ্ছেন। বাসন্তীর ভাঙা বাড়িতে পৌঁছলাম। ’৭৪ সালে বাসন্তীর ভাঙা ঘর আগের মতোই আছে। কোনো পরিবর্তন নেই। বড় করুণ জীবনযাপন। শেখ হাসিনা বললেন, দেখ বাসন্তীকে নিয়ে সবাই বক্তৃতাই দিয়ে গেল। রাজনীতি করল। কিন্তু তার ভাগ্যের পরিবর্তনে কেউ কিছু করল না। বঙ্গবন্ধুকে সারা বিশ্বের মিডিয়ায় বাসন্তীর ছবি বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে। তখন জালের চেয়ে মোটা কাপড় সস্তা ছিল। শেখ হাসিনা নগদ ৩০ হাজার টাকা দেন বাসন্তীকে। ঘোষণা দেন এ সাহায্য অব্যাহত থাকবে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আনসার সাহেব, তিনি সাবেক চেয়ারম্যান, দলীয় সভানেত্রীকে জানালেন সে সময় (’৭৪ সালে) লঙ্গরখানা খুলেছিলেন। দুজন সাংবাদিক গেলেন ঢাকা থেকে। তারা বললেন বন্যার সংবাদ সংগ্রহ করছেন। তারাই বাসন্তীকে টাকা দিয়ে জাল পরা ছবিটি তোলেন পাট খেতে শাক তোলার সময়। সেই বাসন্তীকে কাছ থেকে দেখলাম। কথা বলার জন্য সামনে এগিয়ে গেলাম। পাশে থাকা মোনাজাত উদ্দিন বললেন, কথা বলতে পারেন না। প্রতিবন্ধী। ’৭৪ সালে ইত্তেফাকের রিপোর্টার শফিকুল কবীর ও ফটোগ্রাফার আফতাব আহমেদ যান চিলমারীতে। আফতাব আহমেদের ছবি আর শফিকুল কবীরের লেখা প্রকাশিত হয়েছিল ইত্তেফাকে। পরে এ ছবিটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল। বলা হয়েছিল দুর্ভিক্ষ নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ। সেই প্রচারণার জবাব ক্ষমতাসীন বঙ্গবন্ধুর দল সঠিকভাবে দীর্ঘদিন দিতে পারেনি তখন। সেই দুই সাংবাদিকের শেষ জীবনটা ভালো ছিল না। পারিবারিক কারণে শফিকুল কবীর কষ্ট পেয়ে বিদায় নিয়েছেন। আর আফতাব আহমেদও নিঃসঙ্গ জীবনে মারা যান বাড়ির কাজের লোকদের হাতে।
চিলমারীতে উপস্থিত মানুষের সামনে বক্তব্যও দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। পরে তিনি আমাদের বলেন, ছবিটি তোলা হয় পরিকল্পিতভাবে। আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণের আন্তর্জাতিক চক্রান্ত ছিল ছবিটি। বিশ্ববাসীর সামনে বঙ্গবন্ধু সরকারকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে তোলা ছবি নিয়ে রাজনীতি ঘোলাটে করল সবাই। তৈরি করল ’৭৫ সালের নিষ্ঠুর কালো অধ্যায়ের পথ। কিন্তু বাসন্তীর জন্য কেউ কিছু করল না। আমরা বললাম, এত বছর পরও বাসন্তীর পাশে আপনাকে দাঁড়াতে হচ্ছে। ’৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হন। বরাদ্দ পাঠান বাসন্তীর জন্য। কিন্তু তার নামে জমি ছিল না। তাই ঘর করতে জটিলতা হয়। শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানেই দীর্ঘদিন পর অবশেষে বাড়ি হয়েছে বাসন্তীর। শেষ বয়সে নতুন জীবন পান বাসন্তী। শেখ হাসিনা কাজ করেন নিজের মতো করে। সিদ্ধান্ত দেন ও নেন মানুষের কল্যাণচিন্তা সামনে রেখে। দেশে উন্নয়ন করতে গিয়ে সব সিদ্ধান্ত ভালো হবে এমন কথা নেই। তাই বলে বসে থাকার সুযোগ আর নেই।
’৯৬ সালের শাসনকালের সঙ্গে আজকের প্রধানমন্ত্রীকে এক করে দেখলে হিসাব মিলবে না। রাজনীতির পরিবেশ সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন হয়। বাংলাদেশের রাজনীতির সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা। আর রাজনীতিবিদদের থেকে রাজনীতি কেড়ে নিয়েছে ওয়ান-ইলেভেন। এ বাস্তবতা তৈরি নিয়ে কাউকে দায়ী করছি না। নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাস বলেও একটা কথা থাকে। সে অবস্থাকে চাইলেও এড়ানো যায় না। সেদিন এক বন্ধু বললেন, শেখ হাসিনাকে নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমালোচনার কারণ কী? জবাবে বললাম, সবকিছুতে ব্যর্থ হয়ে দেশ-বিদেশের একদল লোক সাইবারযুদ্ধে নেমেছে। আওয়ামী লীগ সাইবারযুদ্ধের পাল্টা অবস্থানে ব্যর্থ। একমত পোষণ করে সেই বন্ধুটি বললেন, আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনাকেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সঠিকভাবে কখনো নিতে পারেনি। আর পারেনি বলেই পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী ইস্যুতে তাঁর ভূমিকা সঠিকভাবে উপস্থাপন হয়নি। হলে আজ হয়তো তিনি নোবেল পেতেন। শান্তি প্রক্রিয়ায় নোবেল পাওয়ার উপমা অনেক রয়েছে। একটা সময় ব্রিটেনকে টেনশনে থাকতে হতো আইরিশ যোদ্ধাদের হামলার ভয় নিয়ে। একটা শান্তিচুক্তি সবকিছু বদলে দিয়েছে। সেই শান্তিচুক্তির নায়করা নোবেল পেয়েছেন। শান্তি ফিরে এসেছে আয়ারল্যান্ড ইংল্যান্ডের মাঝে। আমেরিকার মধ্যস্থতায় টনি ব্লেয়ার সরকার কাজটি করেছে। প্রক্রিয়া শুরু ’৯৪ সালে। শেষ হয় ’৯৭ সালে। এর মাঝেও উত্তেজনা কম ছিল না। তিন যুগ ধরে ছিল ক্যাথলিক ন্যাশনালিস্ট ও প্রোটেস্ট্যান্ট ইউনিয়নিস্টদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা। শান্তিচুক্তির দুই হোতা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার আর আইরিশ প্রধানমন্ত্রী এহেরেন বেলফাস্টের মাঝের মানুষটি ছিলেন আমেরিকান সিনেটর জর্জ মিশেল। আর শান্তিচুক্তিতে ভূমিকা রেখে নোবেল পেয়েছিলেন রাজনীতিবিদ জনহিউম, ডেভিড ট্রিম্বল। গুড ফ্রাইডে নামে চুক্তিটি বিশ্বখ্যাত ছিল। আবার ভিয়েতনামের শান্তি আলোচনায় প্যারিস চুক্তির জন্য বিপ্লবী নেতা লি ডাক থো ও হেনরি কিসিঞ্জার ১৯৭৩ সালে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন। কিন্তু শান্তি স্থাপিত হয়নি দাবি করে পুরস্কার নিতে অসম্মতি জানান ভিয়েতনামের বিপ্লবী নেতা থো। তিনি বলেন, শান্তি স্থাপন শেষ হওয়ার আগে কীসের নোবেল?
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচিত ও প্রশংসিত ছিল। ’৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেই শেখ হাসিনা শান্তিচুক্তি সম্পন্ন করেন। দেশ-বিদেশে অভিনন্দনের বন্যা ছিল। একটি জনগোষ্ঠীকে মূল ভূখন্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখতে এ চুক্তির বিকল্প ছিল না। বাংলাদেশ এখন সে চুক্তির সুফল ভোগ করছে। শেখ হাসিনার আরেকটি বড় সাফল্য রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ঠাঁই দেওয়া। এভাবে সবাই পারে না। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি অনেক জটিলও ছিল। উন্নত বিশ্বের অনেক দেশ শতাধিক শরণার্থী আশ্রয় দিয়ে ক্লান্ত হয়ে ওঠে। একবার ভাবুন তো ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। মানবিকতার হাত প্রসারিত না হলে এই রোহিঙ্গারা যেত কোথায়? ইতিহাস সব সময় সঠিক ধারায় চলে না। আর চলে না বলেই শেখ হাসিনা এখনো চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগিয়ে চলেছেন। একটা সময় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে সূর্য অস্ত যেত না। আমেরিকার মতো দেশকে স্বাধীনতা নিতে হয়েছিল ব্রিটিশের সঙ্গে লড়ে। বাংলাদেশ আজ এগিয়ে চলছে। কারও সমালোচনায় থেমে যাওয়ার সুযোগ নেই। উন্নতি-সমৃদ্ধির এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। আরও অনেক দূর এগিয়ে যেতে হবে। সরকারি খাতের পাশাপাশি বেসরকারি খাত সামনে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে ভারী শিল্প। কয়েক শ বড় ব্যবসায়ী শিল্পায়নে নতুন পথ সৃষ্টি করেছেন। রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের পাঠানো রিজার্ভ রেকর্ড তৈরি করেছে। গর্ব করে বলতে পারি, নদীর তলদেশ দিয়ে আমরাও টানেল বানাতে পারি। পদ্মার মতো বিশাল নদীতে স্থাপন করতে পারি ব্রিজ। উড়ালসড়ক, মেট্রোরেলের পর পাতালরেল এখন আর স্বপ্ন নয়। আমাদের জীবদ্দশায় হয়তো দেখে যাব মেট্রোরেল, পাতালরেল দিয়ে গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ থেকে ঢাকা এসে মানুষ অফিস করছে। শেখ হাসিনা অনেক কিছুর পথ দেখিয়েছেন। তৈরি করেছেন আলোর রশ্মি। সেই আলোকবর্তিকাকে ধরে রেখে এগিয়ে চলার সংগ্রামই এখন বাংলাদেশের সামনে। সমালোচনা আছে, থাকবে।  বুঝতে হবে কাজ করা কঠিন। কিছু মানুষ কাজ করে পথ দেখায়।  আর কিছু মানুষ সমালোচনা করেই জীবন কাটিয়ে দেয়।
লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।
এই রকম আরো খবর

Bangladesh , Narayanganj , Dhaka , United-states , Paris , France-general- , France , United-kingdom , Padma , Barisal , Manikganj , Vietnam

শেখ হাসিনা কেন নোবেল


নঈম নিজাম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২১
শেখ হাসিনাকে নিয়ে আলোচনা, সমালোচনার শেষ নেই। হুট করে এমন হচ্ছে তা-ও নয়।
১৯৮১ সালে তিনি দলের দায়িত্ব নেন। প্রবীণ রাজনীতিবিদরা সেদিন পাশে থেকেও মন থেকে তাঁকে মেনে নেননি। দলের ভিতরেই তৈরি হয় গভীর ষড়যন্ত্র। তিন বছর না যেতেই প্রথম ভাঙনে সবকিছু বেরিয়ে আসে। পরিবার-পরিজন হারানোর শোক শক্তিতে রূপান্তর করে দেশে আসেন তিনি। নিজের বেদনার অশ্রুর সঙ্গে আকাশের কান্নার স্রোতধারায় দলের দায়িত্ব নেন।  ভাবতেও পারেননি পরিবারের সবাইকে হারাবেন। বাবার আসনে এসে বসবেন। পদে পদে বাধা-বিপত্তি আর চ্যালেঞ্জ সামাল দেবেন। ঘরে-বাইরে শুরু থেকেই ছিল নানামুখী ষড়যন্ত্র আর চক্রান্ত। ঠান্ডা মাথায় তিনি সব মোকাবিলা করেন। শুরু করেন ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার। নতুনভাবে সাজাতে থাকেন সবকিছু। সাধারণ মানুষের সামনে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে আনা অপপ্রচার দূর করে সত্যিকার ইতিহাস জানাতে ছুটতে থাকেন সারা দেশ। ক্লান্তিহীন ছিল সে যাত্রা। আজকের সময়ের সঙ্গে মেলানো যাবে না সেই দিনগুলোকে। ’৮১ সালে যাব না। ২০০১ সালের পরের সঙ্গেও হিসাব মিলবে না।
ইতিহাস তার আপন মহিমায় চলে। শেখ হাসিনার ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারের খবরটি পড়ছিলাম। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে অনেক কথা বলেছে। যুক্তরাজ্য মানবাধিকার সংস্থাও কম যায়নি বলার ক্ষেত্রে। বাংলাদেশ পরিস্থিতি টানতে গিয়ে সমালোচনা করেছে প্রধানমন্ত্রীর। মানুষের জন্য বড় পরিসরে কাজ করতে গেলে এমনই হয়। কাজ না করলে সমস্যা নেই। আলোচনাও নেই, সমালোচনাও নেই। এ দেশে ঘরে বসে থাকলে কারও কিছু যায় আসে না। কাজ করলেই সমস্যা। সরকারি দলের কাজ আর বিরোধী দলের কাজ এক হয় না। সরকারি দলের লোকের অভাব নেই। বিরোধী দলের জীবন কষ্টকর। ভেবেছিলাম প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সমালোচনার জবাব আসবে বলিষ্ঠভাবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সোচ্চার হবে। আনুষ্ঠানিক বক্তব্য-বিবৃতি দেবে। বাস্তবে তেমন কিছু চোখে পড়েনি। ঘুমিয়ে আছে সরকারি সব প্রতিষ্ঠান। ভাবখানা এমন- প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বললে কী যায় আসে? সাংবাদিক ইউনিয়ন বিবৃতি দিয়েছে। সরকারের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য আসা জরুরি ছিল। নেতাদের শুধু বক্তৃতাবাজিতে কাজ হয় না। কখনো কখনো সময়োচিত জবাব দিতে হয়। একটা সময় ছিল শেখ হাসিনা নিজেই নিজের মিডিয়া দেখতেন। তাঁর ব্যক্তিগত কর্মীরা যোগাযোগ রাখতেন মিডিয়ার সঙ্গে। জানিয়ে দিতেন নেত্রীর বিভিন্ন খবরাখবর। ক্ষমতাসীন দল আসমান দিয়ে চলে। মিডিয়ার দায়িত্ববান লোকবলের অভাব নেই। প্রতিষ্ঠানের কমতি নেই। সবাই সব বোঝেন, সব জানেন। তাদের জ্ঞান-গরিমার অভাব নেই। শুধু অভাব শেখ হাসিনাকে নিয়ে দেশ-বিদেশে চালানো কুৎসার পাল্টা জবাবদান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পড়লে মনে হয় বাংলাদেশই নেই। সবকিছু শেষ হয়ে গেছে।
দুঃসময়ের শেখ হাসিনাকে কাছ থেকে দেখেছি। এখন তোষামোদকারী চাটুকারদের যুগ চলছে। তারা জানেন না কীভাবে কাজ করতে হয়। সামাল দিতে হয় জটিল পরিস্থিতির। শেখ হাসিনাকে তারা বোঝেন কি না সন্দেহ। ’৯১ সালের নির্বাচনের পরের একটা কথা মনে পড়ছে। সংগঠন নতুনভাবে গোছাতে মাঠে নামেন শেখ হাসিনা। সারা দেশ চষে বেড়াতে থাকেন। দিন-রাতের খবর থাকত না। খাওয়া নেই-দাওয়া নেই সংগঠন আর মানুষের ঘরে ঘরে যেতেন। কাজ করতেন নিরলসভাবে। একবার গেলেন রংপুরে মঙ্গাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে। সারা দিন নেত্রীর সঙ্গে ঘুরে সাংবাদিকরা ক্লান্ত। সন্ধ্যায় কোনোভাবে ঢাকায় খবর পাঠিয়ে বের হন সবাই রাতের রংপুর দেখতে। সার্কিট হাউসে ফিরতে ফিরতে একটু বিলম্ব হয়। জেগে ছিলেন নেত্রী। তিনি সফরসঙ্গী সাংবাদিকদের ডাকলেন। বললেন, তৈরি থেক সবাই। ভোরে নিয়ে যাব নষ্ট ইতিহাসের আসল রূপ দেখতে। বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসার জবাব পাবে। ভোরে ঘুম ভেঙে নেত্রীর সঙ্গে গেলাম কুড়িগ্রামের চিলমারী। রংপুর থেকে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হলেন চারণ সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিন। চিলমারী সদর থেকে মাঝিপাড়া এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের চরে বাসন্তীর বাস। ১৯৭৪ সালে দৈনিক ইত্তেফাকে বাসন্তীর জাল পরা ছবি প্রকাশিত হয়েছিল। পরে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে সে ছবি। স্বাধীন বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষের মূর্তপ্রতীক হিসেবে এ ছবি বঙ্গবন্ধু সরকারকে বিব্রত করে। যার রেশ আওয়ামী লীগকে ’৯১ সালের ভোটেও টানতে হয়েছিল। সেই বাসন্তীকে দেখতে গেলেন শেখ হাসিনা। সঙ্গে একদল সাংবাদিক।
মাঝিপাড়া বাসন্তীর বাড়ি পর্যন্ত গাড়ি যায় না। বেশ কিছুদূর হাঁটতে হয়। হাঁটাহাঁটিতে ক্লান্তি নেই আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর। তিনি গাড়ি থেকে নেমেই হাঁটা শুরু করলেন। আমরা পেছনে পেছনে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা পথ দেখাচ্ছেন। বাসন্তীর ভাঙা বাড়িতে পৌঁছলাম। ’৭৪ সালে বাসন্তীর ভাঙা ঘর আগের মতোই আছে। কোনো পরিবর্তন নেই। বড় করুণ জীবনযাপন। শেখ হাসিনা বললেন, দেখ বাসন্তীকে নিয়ে সবাই বক্তৃতাই দিয়ে গেল। রাজনীতি করল। কিন্তু তার ভাগ্যের পরিবর্তনে কেউ কিছু করল না। বঙ্গবন্ধুকে সারা বিশ্বের মিডিয়ায় বাসন্তীর ছবি বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে। তখন জালের চেয়ে মোটা কাপড় সস্তা ছিল। শেখ হাসিনা নগদ ৩০ হাজার টাকা দেন বাসন্তীকে। ঘোষণা দেন এ সাহায্য অব্যাহত থাকবে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আনসার সাহেব, তিনি সাবেক চেয়ারম্যান, দলীয় সভানেত্রীকে জানালেন সে সময় (’৭৪ সালে) লঙ্গরখানা খুলেছিলেন। দুজন সাংবাদিক গেলেন ঢাকা থেকে। তারা বললেন বন্যার সংবাদ সংগ্রহ করছেন। তারাই বাসন্তীকে টাকা দিয়ে জাল পরা ছবিটি তোলেন পাট খেতে শাক তোলার সময়। সেই বাসন্তীকে কাছ থেকে দেখলাম। কথা বলার জন্য সামনে এগিয়ে গেলাম। পাশে থাকা মোনাজাত উদ্দিন বললেন, কথা বলতে পারেন না। প্রতিবন্ধী। ’৭৪ সালে ইত্তেফাকের রিপোর্টার শফিকুল কবীর ও ফটোগ্রাফার আফতাব আহমেদ যান চিলমারীতে। আফতাব আহমেদের ছবি আর শফিকুল কবীরের লেখা প্রকাশিত হয়েছিল ইত্তেফাকে। পরে এ ছবিটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল। বলা হয়েছিল দুর্ভিক্ষ নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ। সেই প্রচারণার জবাব ক্ষমতাসীন বঙ্গবন্ধুর দল সঠিকভাবে দীর্ঘদিন দিতে পারেনি তখন। সেই দুই সাংবাদিকের শেষ জীবনটা ভালো ছিল না। পারিবারিক কারণে শফিকুল কবীর কষ্ট পেয়ে বিদায় নিয়েছেন। আর আফতাব আহমেদও নিঃসঙ্গ জীবনে মারা যান বাড়ির কাজের লোকদের হাতে।
চিলমারীতে উপস্থিত মানুষের সামনে বক্তব্যও দেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। পরে তিনি আমাদের বলেন, ছবিটি তোলা হয় পরিকল্পিতভাবে। আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণের আন্তর্জাতিক চক্রান্ত ছিল ছবিটি। বিশ্ববাসীর সামনে বঙ্গবন্ধু সরকারকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে তোলা ছবি নিয়ে রাজনীতি ঘোলাটে করল সবাই। তৈরি করল ’৭৫ সালের নিষ্ঠুর কালো অধ্যায়ের পথ। কিন্তু বাসন্তীর জন্য কেউ কিছু করল না। আমরা বললাম, এত বছর পরও বাসন্তীর পাশে আপনাকে দাঁড়াতে হচ্ছে। ’৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হন। বরাদ্দ পাঠান বাসন্তীর জন্য। কিন্তু তার নামে জমি ছিল না। তাই ঘর করতে জটিলতা হয়। শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানেই দীর্ঘদিন পর অবশেষে বাড়ি হয়েছে বাসন্তীর। শেষ বয়সে নতুন জীবন পান বাসন্তী। শেখ হাসিনা কাজ করেন নিজের মতো করে। সিদ্ধান্ত দেন ও নেন মানুষের কল্যাণচিন্তা সামনে রেখে। দেশে উন্নয়ন করতে গিয়ে সব সিদ্ধান্ত ভালো হবে এমন কথা নেই। তাই বলে বসে থাকার সুযোগ আর নেই।
’৯৬ সালের শাসনকালের সঙ্গে আজকের প্রধানমন্ত্রীকে এক করে দেখলে হিসাব মিলবে না। রাজনীতির পরিবেশ সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন হয়। বাংলাদেশের রাজনীতির সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা। আর রাজনীতিবিদদের থেকে রাজনীতি কেড়ে নিয়েছে ওয়ান-ইলেভেন। এ বাস্তবতা তৈরি নিয়ে কাউকে দায়ী করছি না। নিয়তির নিষ্ঠুর পরিহাস বলেও একটা কথা থাকে। সে অবস্থাকে চাইলেও এড়ানো যায় না। সেদিন এক বন্ধু বললেন, শেখ হাসিনাকে নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমালোচনার কারণ কী? জবাবে বললাম, সবকিছুতে ব্যর্থ হয়ে দেশ-বিদেশের একদল লোক সাইবারযুদ্ধে নেমেছে। আওয়ামী লীগ সাইবারযুদ্ধের পাল্টা অবস্থানে ব্যর্থ। একমত পোষণ করে সেই বন্ধুটি বললেন, আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনাকেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সঠিকভাবে কখনো নিতে পারেনি। আর পারেনি বলেই পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী ইস্যুতে তাঁর ভূমিকা সঠিকভাবে উপস্থাপন হয়নি। হলে আজ হয়তো তিনি নোবেল পেতেন। শান্তি প্রক্রিয়ায় নোবেল পাওয়ার উপমা অনেক রয়েছে। একটা সময় ব্রিটেনকে টেনশনে থাকতে হতো আইরিশ যোদ্ধাদের হামলার ভয় নিয়ে। একটা শান্তিচুক্তি সবকিছু বদলে দিয়েছে। সেই শান্তিচুক্তির নায়করা নোবেল পেয়েছেন। শান্তি ফিরে এসেছে আয়ারল্যান্ড ইংল্যান্ডের মাঝে। আমেরিকার মধ্যস্থতায় টনি ব্লেয়ার সরকার কাজটি করেছে। প্রক্রিয়া শুরু ’৯৪ সালে। শেষ হয় ’৯৭ সালে। এর মাঝেও উত্তেজনা কম ছিল না। তিন যুগ ধরে ছিল ক্যাথলিক ন্যাশনালিস্ট ও প্রোটেস্ট্যান্ট ইউনিয়নিস্টদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা। শান্তিচুক্তির দুই হোতা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার আর আইরিশ প্রধানমন্ত্রী এহেরেন বেলফাস্টের মাঝের মানুষটি ছিলেন আমেরিকান সিনেটর জর্জ মিশেল। আর শান্তিচুক্তিতে ভূমিকা রেখে নোবেল পেয়েছিলেন রাজনীতিবিদ জনহিউম, ডেভিড ট্রিম্বল। গুড ফ্রাইডে নামে চুক্তিটি বিশ্বখ্যাত ছিল। আবার ভিয়েতনামের শান্তি আলোচনায় প্যারিস চুক্তির জন্য বিপ্লবী নেতা লি ডাক থো ও হেনরি কিসিঞ্জার ১৯৭৩ সালে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন। কিন্তু শান্তি স্থাপিত হয়নি দাবি করে পুরস্কার নিতে অসম্মতি জানান ভিয়েতনামের বিপ্লবী নেতা থো। তিনি বলেন, শান্তি স্থাপন শেষ হওয়ার আগে কীসের নোবেল?
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচিত ও প্রশংসিত ছিল। ’৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেই শেখ হাসিনা শান্তিচুক্তি সম্পন্ন করেন। দেশ-বিদেশে অভিনন্দনের বন্যা ছিল। একটি জনগোষ্ঠীকে মূল ভূখন্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখতে এ চুক্তির বিকল্প ছিল না। বাংলাদেশ এখন সে চুক্তির সুফল ভোগ করছে। শেখ হাসিনার আরেকটি বড় সাফল্য রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ঠাঁই দেওয়া। এভাবে সবাই পারে না। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি অনেক জটিলও ছিল। উন্নত বিশ্বের অনেক দেশ শতাধিক শরণার্থী আশ্রয় দিয়ে ক্লান্ত হয়ে ওঠে। একবার ভাবুন তো ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। মানবিকতার হাত প্রসারিত না হলে এই রোহিঙ্গারা যেত কোথায়? ইতিহাস সব সময় সঠিক ধারায় চলে না। আর চলে না বলেই শেখ হাসিনা এখনো চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগিয়ে চলেছেন। একটা সময় ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে সূর্য অস্ত যেত না। আমেরিকার মতো দেশকে স্বাধীনতা নিতে হয়েছিল ব্রিটিশের সঙ্গে লড়ে। বাংলাদেশ আজ এগিয়ে চলছে। কারও সমালোচনায় থেমে যাওয়ার সুযোগ নেই। উন্নতি-সমৃদ্ধির এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। আরও অনেক দূর এগিয়ে যেতে হবে। সরকারি খাতের পাশাপাশি বেসরকারি খাত সামনে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে ভারী শিল্প। কয়েক শ বড় ব্যবসায়ী শিল্পায়নে নতুন পথ সৃষ্টি করেছেন। রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের পাঠানো রিজার্ভ রেকর্ড তৈরি করেছে। গর্ব করে বলতে পারি, নদীর তলদেশ দিয়ে আমরাও টানেল বানাতে পারি। পদ্মার মতো বিশাল নদীতে স্থাপন করতে পারি ব্রিজ। উড়ালসড়ক, মেট্রোরেলের পর পাতালরেল এখন আর স্বপ্ন নয়। আমাদের জীবদ্দশায় হয়তো দেখে যাব মেট্রোরেল, পাতালরেল দিয়ে গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ থেকে ঢাকা এসে মানুষ অফিস করছে। শেখ হাসিনা অনেক কিছুর পথ দেখিয়েছেন। তৈরি করেছেন আলোর রশ্মি। সেই আলোকবর্তিকাকে ধরে রেখে এগিয়ে চলার সংগ্রামই এখন বাংলাদেশের সামনে। সমালোচনা আছে, থাকবে।  বুঝতে হবে কাজ করা কঠিন। কিছু মানুষ কাজ করে পথ দেখায়।  আর কিছু মানুষ সমালোচনা করেই জীবন কাটিয়ে দেয়।
লেখক:
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২১
এএটি

Bangladesh , Narayanganj , Dhaka , United-states , Paris , France-general- , France , United-kingdom , Padma , Barisal , Manikganj , Vietnam

শেখ হাসিনা কেন নোবেল পেলেন না

শেখ হাসিনা কেন নোবেল পেলেন না
bd-pratidin.com - get the latest breaking news, showbiz & celebrity photos, sport news & rumours, viral videos and top stories from bd-pratidin.com Daily Mail and Mail on Sunday newspapers.

Bangladesh , Narayanganj , Dhaka , United-states , Paris , France-general- , France , United-kingdom , Padma , Barisal , Manikganj , Vietnam

Hazte Oír: la fachada visible del catolicismo ultraconservador español

Hazte Oír: la fachada visible del catolicismo ultraconservador español
kaosenlared.net - get the latest breaking news, showbiz & celebrity photos, sport news & rumours, viral videos and top stories from kaosenlared.net Daily Mail and Mail on Sunday newspapers.

Sweden , San-sebastian , Pais-vasco , Spain , Spanish , Suede , Jose-luis-rodriguez , Jose-luis-wolf-perez , Cross-arachnida , Jose-maria , Jose-ignacio , Confederation-catholic-national-to-parents-family

На восстановление костела в Будславе собрали уже около 635 тысяч рублей

На восстановление костела в Будславе собрали уже около 635 тысяч рублей
charter97.org - get the latest breaking news, showbiz & celebrity photos, sport news & rumours, viral videos and top stories from charter97.org Daily Mail and Mail on Sunday newspapers.

Catholic-national , கத்தோலிக்-தேசிய ,

D'Alessandro se queda otra vez sin jugar ante Atlético Nacional; ahora ni siquiera viaja

D'Alessandro se queda otra vez sin jugar ante Atlético Nacional; ahora ni siquiera viaja
elobservador.com.uy - get the latest breaking news, showbiz & celebrity photos, sport news & rumours, viral videos and top stories from elobservador.com.uy Daily Mail and Mail on Sunday newspapers.

Uruguay , Sweden , Colombia , Argentina , Suede , Argentine , Gonzalo-bergessio , Joaquin-trasante , Emiliano-martinez , Pablo-garcia , Suede-athletic-national , University-catholic